মোটরযান রেজিস্ট্রেশন :
১৯৮৭ সাল পর্যন্ত দেশে রেজিস্ট্রেশনকৃত মোটরযানের সংখ্যা ছিল ১,৭৫,০০০ (এক লক্ষ পঁচাত্তর হাজার) টি। ৩০ জুন ২০২৩ তারিখ পর্যন্ত পর্যন্ত উক্ত সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে রেজিস্ট্রেশনকৃত মোটরযানের সর্বমোট সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫৭,৫৯,৩৫৩। বিআরটিএ কর্তৃক ২০২২-২০২৩ অর্থ বছরে ৬টি মেট্রো সার্কেল এবং ৬৪ টি জেলা সার্কেল অফিসের মাধ্যমে ৪,৬৯,১৬৭টি মোটরযানের রেজিস্ট্রেশন প্রদান করা হয়েছে।
রেট্রো-রিফ্লেক্টিভ নম্বরপ্লেট ও রেডিও ফ্রিকুয়েন্সি আইডেনটিফিকেশন (আরএফআইডি) ট্যাগ :
ভূয়া নম্বরপ্লেট, মোটরযান চুরি প্রতিরোধ ও অপরাধে জড়িত মোটরযান সনাক্তকরণের জন্য মোটরযানে রেট্রো-রিফ্লেক্টিভ নম্বরপ্লেট প্রবর্তন করা হয়। ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে ৪,৮২,৪২৬ সেট রেট্রো-রিফ্লেক্টিভ নম্বরপ্লেট প্রস্তুত করা হয়েছে এবং ৫,৩০,৮৮০ সেট মোটরযানে সংযোজন করা হয়েছে।
ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট (ডিআরসি) :
মেশিন রিডেবল ও সহজে বহনযোগ্য ইলেকট্রনিক চিপযুক্ত ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট প্রবর্তন করা হয়েছে। ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে মোট ৭,৩৯,৩১৩টি ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট প্রস্তুত করা হয়েছে এবং পূর্ববর্তী বছরের অবিতরণকৃতসহ মোট ৫,৫৯,৮৮৮টি বিতরণ করা হয়েছে।
ড্রাইভিং লাইসেন্স :
একই দিনে ড্রাইভিং লাইসেন্স এর পরীক্ষা ও বায়োমেট্রিক গ্রহণ এবং ডাকযোগে প্রেরণ করা হয়। ১৭ জানুয়ারি ২০২৩ থেকে ই-ড্রাইভিং লাইসেন্স দেওয়ার কার্যক্রম শুরু হয়েছে। ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে ১২,৫৯,০৮৩ টি ড্রাইভিং লাইসেন্স ইস্যু, নবায়ন করা হয়েছে।
মোটযানের ফিটনেস সার্টিফিকেট :
বিআরটিএ কর্তৃক ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে ৬,৮৫,৫৫৭টি ফিটনেস সার্টিফিকেট ইস্যু ও নবায়ন করা হয়েছে। ভাড়ায় চালিত নয় এরূপ মোটরকার, জীপ ও মাইক্রোবাসের ক্ষেত্রে তৈরির সন হতে ০৫ (পাঁচ) বছর এবং ২০১৯ সাল থেকে প্রতি ২ (দুই) বছর অন্তর ফিটনেস নবায়নের সুযোগ চলমান রয়েছে। এছাড়াও, বিআরটিএ'র যেকোনো সার্কেল অফিস হতে মোটরযানের ফিটনেস নবায়নের সুযোগ সৃষ্টি করা হয়েছে।
মোটরযানের মালিকানা পরিবর্তন :
মোটরযানের মালিকানা পরিবর্তন কার্যক্রম ত্বরান্বিত করার লক্ষ্যে হাতে লেখা ম্যানুয়াল প্রাপ্তি স্বীকার রশিদ এর পরিবর্তে কম্পিউটারাইজড্ প্রাপ্তি স্বীকার রশিদ প্রদান করা হচ্ছে। ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে ১,৩৩,১৯২টি কম্পিউটারাইজড্ প্রাপ্তি স্বীকার রশিদ প্রদান করা হয়েছে।
ড্রাইভিং ইনস্ট্রাক্টর লাইসেন্স ও ড্রাইভিং প্রশিক্ষণ স্কুল রেজিস্ট্রেশন :
অভিজ্ঞ ও দক্ষ মোটরযান চালক সৃষ্টির লক্ষ্যে বিআরটিএ কর্তৃক ড্রাইভিং ইনস্ট্রাক্টর ও ড্রাইভিং প্রশিক্ষণ স্কুলের রেজিস্ট্রেশন প্রদান করা হয়। ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে ১টি ড্রাইভিং স্কুল এবং ৪০২ জনকে ড্রাইভিং ইনস্ট্রাক্টর লাইসেন্স প্রদান করা হয়েছে।
মোবাইল কোর্ট পরিচালনা :
মোবাইল কোর্ট পরিচালনার মাধ্যমে ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে ১৩,১২৮ টি মামলায় ৪,৫২,৮১,৩০০ টাকা জরিমানা আদায়, ১১৩ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদন্ড প্রদান এবং ২৪৮ টি মোটরযান ডাম্পিং স্টেশনে প্রেরণ করা হয়েছে।
মোটরযানের কর ও ফি আদায় :
মোটরযান কর ও ফি আদায়ে অনলাইন ব্যাংকিং এর পাশাপাশি ১৮টি ব্যাংকের ৫৪৭টি শাখা ও ২৪টি বিশেষায়িত বুথের মাধ্যমে মোটরযান কর ও ফিসহ জাতীয় রাজস্ব বোর্ড কর্তৃক নির্ধারিত অগ্রিম আয়কর, ভ্যাট ও সম্পূরক শুল্ক আদায় করা হচ্ছে। ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে রেজিস্ট্রেশন, ট্যাক্স-টোকেন, নম্বরপ্লেট ও ডিআরসি, ড্রাইভিং লাইসেন্স, ভ্যাট, এসডি, অন্যান্য এবং অগ্রিম আয়করসহ সর্বমোট ৪৪২৫ কোটি ৭৫ লক্ষ টাকা রাজস্ব আদায় করা হয়েছে।
রাইডশেয়ারিং প্রতিষ্ঠান এবং রাইভারদের অনলাইন আবেদন :
১ জুলাই ২০১৯ খ্রি: তারিখ হতে রাইডশেয়ারিং সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান এনলিস্টমেন্ট সার্টিফিকেট এবং রাইডশেয়ারিং মোটরযান সার্টিফিকেট ইস্যু কার্যক্রম শুরু হয়। রাইডশেয়ারিং সার্ভিস নীতিমালা, ২০১৭ এর আলোকে ১৬টি প্রতিষ্ঠানকে রাইডশেয়ারিং সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে এনলিস্টমেন্ট সার্টিফিকেট দেয়া হয়েছে। ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে মোট ২,৭৯৯টি মোটরযানের বিপরীতে রাইডশেয়ারিং মোটরযান এনলিস্টমেন্ট সার্টিফিকেট ইস্যু এবং ২,০৩০টি মোটরযানের বিপরীতে রাইডশেয়ারিং মোটরযান এনলিস্টমেন্ট সার্টিফিকেট নবায়ন করা হয়েছে।
বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মোটরযানচালকদের প্রশিক্ষণ প্রদান :
বিভিন্ন সরকারী, আধা-সরকারী, স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠানে ২০২২-২০২৩ অর্থ বছরে ৫৩টি সেশনে ১০৫২ জন মোটরযানচালককে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে।
ট্রাফিক পুলিশ বিভাগের কর্মকর্তাদের প্রশক্ষিণ প্রদান :
সড়কে শৃঙ্খলা আনয়নের জন্য ট্রাফিক পুলিশ বিভাগের কর্মকর্তাদের বিআরটিএ সদর কার্যালয় ও ঢাকা মেট্রো সার্কেল-১ এর কার্যালয়ে নিয়মিত প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়ে থাকে। ২০২২-২০২৩ অর্থ বছরে ২৪৮ জন ট্রাফিক পুলিশকে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে।
বিআরটিএ'র ভেহিক্যাল ইনস্পেকশন সেন্টার (ভিআইসি) :
স্বয়ংক্রিয়ভাবে মোটরযানের ফিটনেস সার্টিফিকেট ইস্যুর লক্ষ্যে মিরপুরস্থ মোটরযান পরিদর্শন কেন্দ্র (ভিআইসি) প্রতিস্থাপনপূর্বক গত ৩০ অক্টোবর ২০১৬ তারিখ হতে চালু করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে অন্যান্য জেলায় নতুন Vehicle Inspection Center (VIC) সম্বলিত বিআরটিএ অফিস কাম মোটর ড্রাইভিং টেস্টিং, ট্রেনিং এন্ড মাল্টিপারপাস সেন্টার স্থাপনের কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে।
বিআরটিএ পরিচালনা পরিষদ :
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ আইন ২০১৭ এর ১৩ ধারা অনুযায়ী ৮ সদস্যের বিআরটিএ পরিচালনা পরিষদ গঠন করা হয়েছে। প্রতি ৩ (তিন) মাসে একবার পরিচালনা পরিষদের সভা অনুষ্ঠিত হয়। গত ২২ মে ২০২২ তারিখে পরিচালনা পরিষদের ৪র্থ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
ট্রাস্টি বোর্ডের মাধ্যমে আর্থিক ক্ষতিপূরণ প্রদান :
সড়ক দুর্ঘটনায় আঘাতপ্রাপ্ত বা মৃত্যুবরণকারীদের ক্ষতিপূরণ প্রদানের নিমিত্ত সড়ক পরিবহন আইন, ২০১৮ অনুযায়ী আর্থিক সহায়তা তহবিল পরিচালনার জন্য ট্রাস্টি বোর্ড গঠন করা হয়েছে। ৩০ জুন, ২০২৩ পর্যন্ত আর্থিক সহায়তা তহবিলে স্থিতি ৬৯,৬৩,৪৮,১৮৮/- টাকা। জুন ২০২৩ পর্যন্ত ১০২টি ক্ষতিপূরণের আবেদনের বিপরীতে আর্থিক সহায়তা প্রদান প্রক্রিয়াধীন।
ইনোভেশন :
২০২২-২৩ অর্থবছরে "অনলাইনের মাধ্যমে মোটরযান নিবন্ধনের আবেদন দাখিল প্রক্রিয়া বিকেন্দ্রীকরণ” (সংযুক্তিসহ অনলাইনে মোটরযান নিবন্ধনের আবেদন জমা) সংক্রান্ত উদ্ভাবন প্রস্তাব বাস্তবায়ন করা হয়েছে।
অভ্যন্তরীণ প্রশিক্ষণ :
২০২২-২০২৩ অর্থবছরে ৪৩টি বিষয়ে মোট ২৩৯৬জন কর্মকর্তা/কর্মচারীকে অভ্যন্তরীণ প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।
নথি/রেকর্ডপত্র/দলিল ডিজিটাল আর্কাইভ :
বিআরটিএ'র গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্ট ডিজিটাল উপায়ে সংরক্ষণ এবং প্রয়োজনে দ্রুত যাচাই করতঃ গ্রাহকসেবা ত্বরান্বিত করার উদ্দেশ্যে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ নথি/রেকর্ডপত্র/দলিল ডিজিটাল আর্কাইভ করা হয়। জুন ২০২৩ পর্যন্ত স্ক্যান হয়েছে ৩,৪৬,২৯,৭১৬ পৃষ্ঠা। ২০২২-২০২৩ অর্থ বছরে ১,৭০,৫৬,৭২৮ পৃষ্ঠা স্ক্যান করা হয়েছে।